জীবন ও বাস্তবতা
জীবনের বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। এটাই জীবন। জীবনের বাস্তবতার বড় বৈশিষ্ট্য
হচ্ছে, যতই নিষ্ঠুর হউক বা যতই কষ্ট হউক তা সয়ে নিতে হয়, মেনে নিতে হয়
জীবনের প্রয়োজনেই। জীবনে কষ্ট আসলে মানসিক ভাকে যতটুকু ভেঙ্গে পড়বে জীবন
তার দ্বিগুন পিছিয়ে যাবে। জীবনের সকল দূঃখ কষ্ট ও বাস্তবতাকে জীবনের অংশ
হিসাবে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে গ্রহন করার নামই হচ্ছে সুখ।
জীবনের
বৈশিষ্ট্য হচ্ছে , সে কখনও এক পথে চলেনা। মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী
চলেনা। জীবনের এই বৈশিষ্ট্যকে যারা মেনে নিতে পারেনা তারাই হতাশ জীবন যাপন
করে। যারা মেনে নিতে পারে তারাই সুখী । কিন্তু সবাই কি পারে সব অবস্থা মেনে
নিতে ? কিন্তু মেনে নিতে হয় জীবনের জন্য। জীবনের বাস্তবতা যারা মেনে
নেয় তারা জীবনের আনন্দগুলো উপভোগ করে, জীবনকে উপভোগ করে। কষ্ট ও দুঃখগুলো
থেকে তারা শিক্ষা নেয়। গৃহীত শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে তারা জীবন সাজায়। ফলে
তাদের জীবনের দুঃখ কষ্টগুলো বাহির থেকে দেখা যায়না বা তারা তা দেখাতে
চায়না। দুঃখ কষ্ট তারা সামলে নিয়ে সেখান থেকে শিক্ষা গ্রহন করে। তাদের
সহনমাত্রা অনেক বেশী থাকায় একটা সময় এসে দুঃখ কষ্ট তাদেরকে ছুঁতে চায়না
, ছুঁয় না। আমরা বলি চীরসূখী মানুষ । আসলে তা নয়। তারা দুঃখ কষ্টকে
জীবনের অংশ হিসাবে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নেয়। তারা অনেক কষ্ট সয়ে , মেনে
নিয়ে কষ্টকে জয় করে নিয়েছে।
জীবনের বাস্তবতায় আসা কষ্টকে মেনে না
নিয়ে হতাশ হলেই জীবন হতাশ হয়। কিছু কিছু কষ্ট জীবনে আসে যা ক্ষুদ্র
জীবনের কাছে পাহাড় তুল্য। হতাশ নয়, ধৈর্য্য ও সময়ই অনেক সমস্যার সমাধান
দেয়।
কষ্ট কখনও কখনও এমন ভাবে আসে যখন চোখ বন্ধ হয়ে যায়। কান বধির
হয়ে যায়।কন্ঠ বোবা হয়ে যায়। বুদ্ধি নির্বোধ হয়ে যায়। শরীর পঙ্গু হয়ে
যায়। দিশেহারা জীবনে সব পরিকল্পনা ছাড়খার হয়ে যায়। তারপরও মানুষকে
বেঁচে থাকতে হয় জীবনের অদৃশ্য প্রয়োজনে। আমি জানিনা কী সে প্রয়োজন।
জীবনের কোথায় যেন কিসের একটা অদৃশ্য টান। আমার অনুপস্থিতিতে সব চলবে
যথারীতি। তারপরও মনে হয় আমিই যেন সব সমস্যা সমাধানের একমাত্র ভরষা। মনে
হয়, আমি ছাড়া সমস্যা সমাধানের আর কেউ নাই। আমাকে ছাড়া ? অসম্ভব। এই মনে
করে বলেই হয়তো হাজার যন্ত্রনা সয়ে বেঁচে থাকা।
জীবনের অত্যাশিত বাস্তবতা কি যে কঠিন তা বোধ হয় মানুষ মাত্রই বুঝেন।
আপনার
মা আপনার এতই প্রিয় যে, এক মুহুর্ত চোখের আড়াল করেননি। কিন্ত একদিন
হয়তো দেখা গেল আপনারই কোলে শুয়ে আপনার মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিল। আপনি
কি তা ভূলেও কোন দিন প্রত্যাশা করেছিলেন ? তারপরও কিন্ত স্বভাবিক ভাবে
বেঁচে আছেন। থাকতে হবে , থাকতে হয়। আমার এক বন্ধুর কথা বলি। নাম অর্পি।
বিবাহিত । মা হতে যাচ্ছে। স্বামী বিপ্লব চট্রগ্রামে চাকুরী করে বিধায়
অর্পি এই অবস্থায় ঢাকার মিরপুরে বাবার বাসায় থাকেন। একদিন বিকালে হঠাৎ
অর্পির বাবা ষ্টোক করে। হাসপাতালে ভর্তি হয়। সেদিন অর্পি কে খুব পরিশ্রম
করতে হয়েছে, কারণ অর্পির কোন ভাই নাই। সাড়ে সাত মাসের গর্ভবতী অর্পি
সন্ধায় অসুস্থ হয়ে পড়ে। ভর্তি হতে হয় মাতৃসদনে। ডাক্তার জানায়, জরুরী
ভিত্তিতে সীজার না করলে মা ও সন্তান দুজনের জন্যই বিপদ হতে পারে। বিপ্লব
কে সংবাদ দেয়া হয়। পরদিন ভোরে বিপ্লব ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
পথিমধ্যে সংবাদ পায় অর্পির বাবা মারা গেছেন। দুপুরের পরে অর্পির সীজার
হবে। বিপ্লব দিশেহারা হয়ে যায়, এখন সে কি করবে। কোথায় যাবে ? ভাইহীন
অর্পির বাবার লাশ দেখতে হাসপাতালে ? নাকি নিজের স্ত্রী, সন্তানের কাছে।
বিপ্লব
গাড়ী থেকে নেমে চলে যায় লাশ সামলাতে। অর্পির বাবার লাশ দেখে চিৎকার করে
কাঁদতে থাকে বিপ্লব। কারণ মাত্র ১ মাস আগেই সে তার বাবাকে হারিয়েছে ।
নিজেকে সে অভিবাবকহীন, অসহায় ভাবছে। এক সময় তার বুকে ব্যথা উঠে এবং ঐ
হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। অর্পির বাবার লাশ বের করতে সময় লাগে অনেক
বেশী, কারণ ভর্তির ১ ঘন্টা পর নার্স ট্রলিতে করে সামনে নিয়ে আসে
বিপ্লবের লাশ।
সীজার শেষে বিকাল নাগাদ অর্পি কিছুটা সুস্থ বোধ করে। দেখে
পাশে তার সন্তান নাই। জানতে পারে ,অপরিপক্ক শিশু জন্ম হওয়ায় ইনকিবিউটরে
রাখা হয়েছে। সন্ধায় পর নার্স এসে জানায় “ ডাক্তাররা অনেক চেষ্টা
করেছিল,,,,,, কিন্তু ,,,,, দুঃখিত,,,,”।
একই দিনে অর্পি তার তিনটি
আশ্রয় হারায়। বাবা, স্বামী, সন্তান। আমাদের সমাজে নারীর বেঁচে থাকার এই
তিনটিই স্থান। অর্পি বেঁচে আছে। থাকবে। বাহির থেকে কেউ কি বুঝবে এই বেঁচে
থাকার ভিতরকার রূপটি কেমন।
আমি জানিনা অর্পি কেমন করে বেঁচে আছে। কেন ,
কিসের আশায় বেঁেচে আছে। তবু তাকে বেঁচে থাকতে হবে কষ্টের স্মৃতি নিয়ে।
প্রতি বছর একই দিনে অর্পি তিনটি কবর জিয়ারত করে যে কবরে প্রতিটি বাসিন্দা
তার এক একটা আত্মা।
অর্পি বেঁচে আছে,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
এটাই হচ্ছে জীবন ও বাস্তবতা।
সংগৃহীত
জীবনের গল্প
নীলা
নামে ১৭ বা ১৮ বছরের একটা সুন্দরী মেয়ে আমাদের অফিসে জয়েন করেছে আজ থেকে
প্রায় সাত বা আট মাস আগে। ওর কাজ হচ্ছে অফিস পরিষ্কার করা, ব্যাংকে যাওয়া ও
বাইরের কাজগুলো করা। খুব সুন্দর সুন্দর পোশাক পরে আসে। মিয়ানমারের মেয়ে।
প্রথম যেদিন দেখলাম ওর সঙ্গে একটু কথা বললাম। বাড়িতে কে কে আছে, কত দিন হলো
ব্যাংককে এসেছে, কোথায় থাকে ইত্যাদি। খুব ভালো লাগল।
প্রতিদিন সকালে যখন দেখা হয় জিজ্ঞাসা করি, কিছু খেয়েছ সকালে? কোনো দিন উত্তর দেয় খেয়েছি, কোনো দিন না, পরে খাব।
একদিন কথায় কথায় বলল দেশে ওর বাবা-মা আছে তাদের জন্য টাকা পাঠায়। ফোনে খোঁজখবর নেয়।
আমি
সাধারণত ওকে বাইরের কাজে পাঠালে কিছু টাকা দিই যাতে এক গ্লাস ওভালটিন বা
আইসক্রিম কিনে খেতে পারে। ও নেয়। কোনো কোনো দিন নিতে চায় না। তারপরও জোর
করে দিই।
কয়েক দিন আগের ঘটনা। আমাদের অফিসের দুটি কম্পিউটার আছে
কম্পিউটার শপে, সঙ্গে প্রিন্টার। আমাকে গিয়ে সব ঠিক আছে কি না চেক করে আনতে
হবে। নীলাকে সঙ্গে নিলাম। যেতে যেতে কথা বলছি ওর সঙ্গে। বললাম তোমার
বাবা-মায়ের জন্য খারাপ লাগে না। এই বিদেশে একা একা থাক?
হঠাৎ করে ও
বলল, আমার তো আসল মা নেই, বাবা আছে। বাবা আবার বিয়ে করেছে। সেই ঘরে আমার
তিন ভাইবোন আছে। আমি আমার দাদির কাছে বড় হয়েছি। আমি যে বাড়ি টাকা পাঠাই তা
আমার দাদির জন্য। আমার দাদি আমার বাবার সঙ্গেই থাকে। আমি ফোন করি আমার
দাদির কাছে।
জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার মা কোথায়? তোমার আসল মা নেই আর আমি এত দিনেও জানি না, তুমি তো আমাকে আগে বলনি!
আমার
যখন ৯ মাস বয়স তখন আমার মা আমাকে রেখে থাইল্যান্ড আসে কাজের জন্য। এখানে
আসার দুই বছর পর এক পাকিস্তানিকে বিয়ে করে। তারপর তার সঙ্গে পাকিস্তানে চলে
যায়। সেখানে নাকি তার দুই ছেলে আছে। আমি বড় হয়ে এই সব গল্প শুনেছি। কারণ
আমার নানি বাড়ি দাদি বাড়ি থেকে বেশি দূরে না। পাশাপাশি গ্রাম।
আমি বললাম
তুমি বড় হয়ে কোনো দিন তোমার মাকে খোঁজ করনি। ও বলল, কয়েক দিন আগেই একজন
ওকে ছবি দেখিয়েছে, ওর মা ফেসবুকে আছে, কিন্তু ও দেখতে চায় না। আমি বললাম,
কেন, মাকে দেখতে ইচ্ছা করে না?
নীলা দেখলাম মুখ করুণ করে বলছে, দেখতে ইচ্ছা করে। কিন্তু যে মা আমাকে
ছেড়ে চলে গেছে, কোনো দিন আমার খোঁজ নেয়নি, আমার দাদি আমাকে বড় করেছে, আমি
যদি আমার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমার দাদি খুব কস্ট পাবেন। তাই আমি আমার
মা ফেসবুকে আছে জেনেও আমি তার খবর নিই না। আমার নানিও ব্যাংককে আছে।
অন্যদের কাছ থেকে আমার খবর নেয়। কিন্তু আমার কাছে আসার সাহস পায় না।
আমি
বললাম তুমি কেন তোমার মাকে নিয়ে নেগেটিভ চিন্তা করছ? একটু ভাব আজ থেকে ১৭
বছর আগে যখন তোমার মা এই দেশে এসেছিল, তখন এত সহজ ছিল না কাজ পাওয়া বা
সেটেল হওয়া। হয়তো তোমার মায়ের জীবনে যা কিছু ঘটেছে তার ওপরে তার কোনো হাত
ছিল না। এই পরবাসে হয়তো তার কোনো উপায় ছিল না। তাই হয়তো ওই পাকিস্তানি
লোকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আর তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল। তাই
বলে কি মনে হয় সে তোমাকে ভুলে গেছে? হয়তো তোমাকে ভোলেনি। মনে করে প্রতিদিন,
কিন্তু কাউকে বলতে পারে না। হয়তো চুপি চুপি তোমার খবর নেয়, তুমি হয়তো জান
না। মায়ের ওপর রাগ করে থেকো না। তোমার সঙ্গে তোমার মায়ের দেখা একদিন না
একদিন হবে। আমি সেই দোয়া করি।
নীলা অভিমান ভরা কণ্ঠে বলল আমি চাই না আমার সঙ্গে আমার মায়ের দেখা হোক। আমাকে কেন ছেড়ে গিয়েছিল আর কোনো দিন কেন আমার খোঁজ নেয়নি।
মনে
মনে ভাবতে লাগলাম মানুষের জীবন কত বিচিত্র। কত শত ঘটনা আছে এ রকম মানুষের
জীবনে। আমি জানি কোনো একদিন হয়তো ওর মায়ের সঙ্গে ওর দেখা হবে, কথা হবে। একে
অপরকে জড়িয়ে ধরবে। তারপর হয়তো এই রাগ আর থাকবে না। কিন্তু কবে সেই দিন?
সেই দিন কি আসলেই আসবে নীলার জীবনে? আমি মনে মনে চাই নীলার জীবনে সেই দিন
আসুক। ও ওর মায়ের বুকে মাথা রেখে পরান ভরে কাঁদুক, সব অভিমান ভুলে যাক।। এই
পৃথিবীটা শুধুই হয়ে উঠুক মা আর মেয়ের।
~ কী আছে, আপনার কাছে ? ~
সিনেমার সেই ডায়ালগটা মনে আছে তো?
অহংকারী ভিলেন এসে নীতিবান নায়ককে ব্যঙ্গ করছে, বলছে, আমার কাছে বাড়ি,
গাড়ি, সবই আছে, তোর কাছে আছেটা কী? নায়ক একটু চিন্তা করে বললো, আমার কাছে
আছে মা! হাততালি ...
এটা সিনেমার ডায়ালগ, কিন্তু ফিরে আসুন বাস্তবে
এবার। স্বীকার করুন বা না করুন, আমাদের সবার কাছে সবকিছু নাই। আপনার বন্ধুর
আইফোন ৬ আছে, আপনার নাই, আপনার বন্ধু দামি ব্রান্ডের শার্ট পরে, আপনি পরেন
না। অথবা আপনার বন্ধু পরীক্ষায় গোল্ডেন পেয়েছে, আপনি পাননি। কেউ অমুক
দোকানে পার্টি দিয়ে নাম কিনে, আপনি পারেন না। এলিট, কুলীন ইউনিভার্সিটিতে অমুকে পড়ে, আপনি চান্স পাননি সেখানে।
এসব নিয়ে কি মন খারাপ করে বসে থাকেন? সবার হৈ হুল্লোড় দেখে, অথবা ফোন,
শার্ট, বা গোল্ডেন পাওয়া বন্ধুর জয়জয়কার দেখে, বাগাড়ম্বর দেখে কুঁকড়ে যান?
নিজের না থাকার, না পাওয়ার হিসাব করেন?
হিসাবটাই পাল্টে দিন। আজকেই।
আপনার কাছে কী নাই তার হিসাব নিকাশ করার বদলে বরং উল্টাটা করুন, আপনার
কাছে কী আছে, তাই ভাবুন। না থাকুক আপনার চকচকে কিছু একটা, অথবা না থাকুক
পিঠ চাপড়াবার, তারিফ করার সাঙ্গপাঙ্গ, কিন্তু আপনার কাছে তো অনেক কিছুই
আছে, তাই না? দরকার হলে খাতা কলম নিয়ে বসেই হিসাবটা করে ফেলুন, আপনার কাছে
কী আছে?
বাজি ধরে বলতে পারি, অবাকটা আপনিই হবেন। কারণ -- না পাবার,
না থাকার হিসাবের যায়গায় যখনই করতে বসবেন কী আছে তার হিসাব, দেখবেন, আপনার
ধারণার বাইরে অনেক কিছুই আছে আপনার কাছে।
তার জন্য শুকরিয়া করেন, নিজেকে ভাবুন ভাগ্যবান।
কারণ আপনার দাম্ভিক বন্ধু যাই বলুক না কেনো, আপনার কাছে অনেক অনেক কিছুই
আছে। আর এই ভাবনার মাধ্যমে সবচেয়ে বড় সম্পদটাকেও ধরে ফেলুন, নিজের মনে
স্থান দিন।
সেটা হলো স্বপ্ন।
সংগৃহীত
আনন্দময়, উজ্জ্বল, মন ভালো করা স্বপ্ন।
শুরুটা করে দিন, আজকেইসংগৃহীত
সফলতার গল্প
বিল গেটস গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে নি, স্টিব জবস ও করে নি, মার্ক জাকারবার্গ ও করে নি … আচ্ছা, এমন মনে করে যদি চিন্তা করেন আমার ও গ্র্যাজুয়েশন করতে হবে না, পড়ালেখা না করে আমিও বিলিওনিয়ার হবো, তাহলে বিপদে পড়বেন, সত্যিই বিপদে পড়বেন।
এরা সবাই পড়ালেখা করত। প্রচুর পড়ালেখা করত। একাডেমিক পড়ালেখা না করলেও নিজের পছন্দের বিষয়তে অনেক সময় দিত। নিজের পছন্দের বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করত। একাডেমিক পড়ালেখা করুন বা না করুন, তাতে কিছু যায় আসে না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আপনার যেটা পছন্দ, সেখানে সময় দিচ্ছেন কিনা, তা।
আপনার পছন্দের কিছু খুঁজে পেয়ে যদি তার পেছনে সময় না দিয়ে অন্য কিছুতে সময় দিয়ে থাকেন, সারাক্ষণ আন্দন্দ উল্লাসে মেতে থাকেন, অথবা আমার দ্বারা কিছু হচ্ছে না ভেবে সারাক্ষণ মন খারাপ করে পড়ে থাকেন, তাহলে দুটিই আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনবে। বিপদ ডেকে না আনলে নিজের পছন্দের কিছু করতে পারবেন না। সারাজীবন বোরিং কিছু করে জীবন পার করে দিতে হতে পারে।
পছন্দের কিছু খুঁজে না পেলেও বই পড়ুন। চিন্তা করুন। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখুন… পছন্দের বিষয়টি পেয়ে যাবেন। এরপর পড়ালেখা। পরিশ্রম করার সময়। নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করতে একটুও কষ্ট লাগবে না। একটুও না। একটি কোট আছে এমন, 'যদি জব করতে না চাও, তাহলে নিজের প্যাশন নিয়ে কাজ কর। সব সময়ই আনন্দে থাকবে, কাজ করছ যে তা মনে হবে না।’
এমন ও করা যেতে পারে, নিজেকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য একটা কিছু করা। বাকিটা সময় নিজের প্যাশনের পেছনে ব্যয় করা। জীবন সুন্দর হবে। সত্যিই সুন্দর হবে। এমন করা অস্বাভাবিক কিছু না। সময়কে একটু ব্যবহার করতে হবে, এই যা। এক জনের সময় এক ভাবে ব্যয় হয়, তাই আমি স্পেসিফিক কিছু লিখতে যাবো না… তবে চিন্তা করে নিজের প্যাশনের জন্য কিছু সময় বরাদ্ধ করা যেতে পারে।
সফলতার সংজ্ঞা এক জনের জন্য এক রকম। নিজের কিছু স্বপ্ন থাকে, সে গুলো পূর্ণ হওয়াই হচ্ছে সফলতা। আর নিজের স্বপ্ন গুলো পূরণ করা কঠিন নয়। দরকার স্বাভাবিক থেকে একটু বেশি চেষ্টা করা। একটা উদাহরণ আমার দিতে খুব ভালো লাগে। আবার ও দিচ্ছিঃ আমরা যখন অনেক গুলো মানুষের সমাবেশ দেখি, তখন লম্বা মানুষ গুলোকে দূর থেকে দেখা যায়। বাকিরা মিশে যায় ভিড়ের মধ্যে। ঐ লম্বা মানুষ গুলো এভারেজ মানুষ থেকে কত টুকু বড়? এক ইঞ্চি, দুই ইঞ্চি? এর বেশি তো নয়, তাই না?
হ্যাঁ, সফলতার জন্য, নিজের প্যাশনের জন্য কাজ করার জন্য, নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটু বেশি চেষ্টা করতে হয়। স্বাভাবিকের থেকে। স্বপ্ন পূরণ হবেই হবে। স্বপ্ন দেখেছি যেহেতু, পূরণ করে ছাড়বই ছাড়ব...
সংগৃহীত
বিল গেটস গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে নি, স্টিব জবস ও করে নি, মার্ক জাকারবার্গ ও করে নি … আচ্ছা, এমন মনে করে যদি চিন্তা করেন আমার ও গ্র্যাজুয়েশন করতে হবে না, পড়ালেখা না করে আমিও বিলিওনিয়ার হবো, তাহলে বিপদে পড়বেন, সত্যিই বিপদে পড়বেন।
এরা সবাই পড়ালেখা করত। প্রচুর পড়ালেখা করত। একাডেমিক পড়ালেখা না করলেও নিজের পছন্দের বিষয়তে অনেক সময় দিত। নিজের পছন্দের বিষয় গুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করত। একাডেমিক পড়ালেখা করুন বা না করুন, তাতে কিছু যায় আসে না। যেটা গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে আপনার যেটা পছন্দ, সেখানে সময় দিচ্ছেন কিনা, তা।
আপনার পছন্দের কিছু খুঁজে পেয়ে যদি তার পেছনে সময় না দিয়ে অন্য কিছুতে সময় দিয়ে থাকেন, সারাক্ষণ আন্দন্দ উল্লাসে মেতে থাকেন, অথবা আমার দ্বারা কিছু হচ্ছে না ভেবে সারাক্ষণ মন খারাপ করে পড়ে থাকেন, তাহলে দুটিই আপনার জন্য বিপদ ডেকে আনবে। বিপদ ডেকে না আনলে নিজের পছন্দের কিছু করতে পারবেন না। সারাজীবন বোরিং কিছু করে জীবন পার করে দিতে হতে পারে।
পছন্দের কিছু খুঁজে না পেলেও বই পড়ুন। চিন্তা করুন। এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখুন… পছন্দের বিষয়টি পেয়ে যাবেন। এরপর পড়ালেখা। পরিশ্রম করার সময়। নিজের পছন্দের বিষয় নিয়ে কাজ করতে একটুও কষ্ট লাগবে না। একটুও না। একটি কোট আছে এমন, 'যদি জব করতে না চাও, তাহলে নিজের প্যাশন নিয়ে কাজ কর। সব সময়ই আনন্দে থাকবে, কাজ করছ যে তা মনে হবে না।’
এমন ও করা যেতে পারে, নিজেকে চালিয়ে নেওয়ার জন্য একটা কিছু করা। বাকিটা সময় নিজের প্যাশনের পেছনে ব্যয় করা। জীবন সুন্দর হবে। সত্যিই সুন্দর হবে। এমন করা অস্বাভাবিক কিছু না। সময়কে একটু ব্যবহার করতে হবে, এই যা। এক জনের সময় এক ভাবে ব্যয় হয়, তাই আমি স্পেসিফিক কিছু লিখতে যাবো না… তবে চিন্তা করে নিজের প্যাশনের জন্য কিছু সময় বরাদ্ধ করা যেতে পারে।
সফলতার সংজ্ঞা এক জনের জন্য এক রকম। নিজের কিছু স্বপ্ন থাকে, সে গুলো পূর্ণ হওয়াই হচ্ছে সফলতা। আর নিজের স্বপ্ন গুলো পূরণ করা কঠিন নয়। দরকার স্বাভাবিক থেকে একটু বেশি চেষ্টা করা। একটা উদাহরণ আমার দিতে খুব ভালো লাগে। আবার ও দিচ্ছিঃ আমরা যখন অনেক গুলো মানুষের সমাবেশ দেখি, তখন লম্বা মানুষ গুলোকে দূর থেকে দেখা যায়। বাকিরা মিশে যায় ভিড়ের মধ্যে। ঐ লম্বা মানুষ গুলো এভারেজ মানুষ থেকে কত টুকু বড়? এক ইঞ্চি, দুই ইঞ্চি? এর বেশি তো নয়, তাই না?
হ্যাঁ, সফলতার জন্য, নিজের প্যাশনের জন্য কাজ করার জন্য, নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য একটু বেশি চেষ্টা করতে হয়। স্বাভাবিকের থেকে। স্বপ্ন পূরণ হবেই হবে। স্বপ্ন দেখেছি যেহেতু, পূরণ করে ছাড়বই ছাড়ব...
সংগৃহীত
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন