একদিন একটা মেয়েকে মন থেকে ভালোবেসে ফেলবে।
হ্যাঁ অনেকদিন থেকেই পরিচয়।
মেয়েটা খুব ভালো।
গলার কন্ঠটা যেন কোকিলের মতো সুন্দর।
দেখতে ও খুব সুন্দর।
তার হাসিটা ছিল মনভোলানো।
অনেক দিন থেকেই একসাথে বন্ধুর
মতো পথচলা। একে
অপরকে সাহায্য করা।
নামগুলোই বলতে ভুলে গেছি।
ছেলেটার নাম নীল
এস.এস.সি থেক অপরাজিতাকে চিনে, অপরাজিতাকে কখন ভালোবেসে ফেলেছে বুঝতেই পারে না। কিন্তু নীল কখনো বলতে পারেনা মনের কথাটা- যদি সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে যায় তার ভয়ে। কিন্তু নীল তার কাজ, তার প্রতি যত্ন দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করছে অপরাজিতাকে দিনের পর দিন যেন অপরাজিতাকে আরো বেশী ভালোবেসে ফেলছে। একসময় চলে এল মাধ্যমিক পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষের পর ফলাফল বেরোলো। এবার কলেজে ভর্তির পালা। অপরাজিতার অজান্তেই নীল তাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে ফেলেছে। অনেক বলার চেষ্টা করছে কিন্তু কিছুতেই সাহস পাচ্ছে না। কারন যদি সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। নীল চায় অপরাজিতার পাশে সারাটা জীবন থাকতে সুখ দুখে সাথী হতে সব সময় সাহায্য করতে, কিন্তু বিনিময় তার কাছ কিছূ আশা করেনা নীল... নীল এর বিশ্বাস অপরাজিতা সব সময় তার সাথে থাকবে সব কিছু শেয়ার করবে এবং যথাসাধ্য সবোচ্চ চেষ্টা করবে তাকে সাহায্য করার জন্য, নীল বিশ্বাস করতো অপরাজিতা অন্য কোন ছেলের সাথে সম্পর্কে জড়াবে না... অপরাজিতার প্রতিটা কথা নীল অন্ধের মতো বিশ্বাস করতো ।
হয়তো ভালবাসতে চাই না, হয়তো বিশ্বাস করতে চাই না। তবু কিছু মানুষ থাকে যারা ভরসা দেয় যে আমি আছি... আমি আছি তোমার জন্য। ভয় পাই... প্রতারণার, কষ্টের, বঞ্চনার। তবু মানুষগুলো ভরসা যোগায়, শত ঝড় ঝাপটা সয়ে পাশে থাকে। ভালোবাসার কথা বলে... তারপর একসময় হয়তো আমরা বিশ্বাস করে ফেলি... প্রবল, প্রচণ্ড বিশ্বাস। প্রবল প্রচণ্ড ভালোবাসা। আর ঠিক যখন আমাদের মনে হতে শুরু করে যে মানুষটি কখনো কষ্ট দেবে না আমাকে, মানুষটি কখনো আঘাত করবে না আমাকে, মানুষটি কখনো ঠকাবে না... ঠিক তখনই... ঠিক তখনই মানুষটি ধোঁকা দেয়। প্রতারণা করে, অতীত ভুলে গিয়ে নির্লজ্জের মত আঘাত করে। নিজের স্বার্থ উদ্ধার হয়ে যাওয়ার পর চলে যায় নিজের পথে। যেন আপনার কোনো অস্তিত্ব নেই তাঁর জীবনে, কখনো ছিল না...
ঝুম বৃষ্টি নীল এর খুব প্রিয়। বৃষ্টি হলেই নীল বৃষ্টিতে ভিজবেই যে ভাবে হোক.... এই বৃষ্টিতে ভেজার জন্য নীল প্রায়ই বাসা থেকে বকা খেত। বৃষ্টি হলেই সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে যেত .. ফাকা রাস্তায় ঝুম বৃষ্টিতে সাইকেল চালানো যে আনন্দ তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। যারা ঝুম বৃষ্টিতে ফাকা রাস্তায় সাইকেল চালিয়েছে আর ভিজছে তারাই এই সুখ অনুভব করতে পারবে।
এছাড়াও অপরাজিতার সাথে বৃষ্টিতে ভেজার ষুখকর স্মৃতি আছে নীল এর....
প্রথম কবে নীল অপরাজিতার সাথে বৃষ্টিতে ভিজছে সেটা নীল এর হয়তো মনে নাই কিন্ত যে স্মৃতি কখনোই ভুলার নয় তা হলো কোন এক ঈদ এর রাতে হঠাৎ অপরাজিতার ফোন বলল যে রিকশায় করে ঘুরবে বৃষ্টিতে প্রথমে আমি আপত্তি করেছিলাম যে রাতের বেলা বাসা থেকে কি বলবে ইত্যাদি ইত্যাদি তাকে বুঝালাম কিন্তু সে নাছোর বান্দা বের হবেই পরে আমিও রাজি হলাম এবং বলাম কি ভাবে সে বলল যে আমি রিকাশা নিয়ে বের হই তার আগে তুমি রিকশা নিয়ে আগে গিয়ে দাড়াও আমি সেখানে এসে তোমার সাথে রিকশায় উঠবো সেই রকম কথাই হল আমি আগে গিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করলাম সে আসলো এবং এক রিকশায় উঠলাম এবং রিকশাওলার সাথে আমাদের চুক্তি হলো আমরা ঘুরবো ঘন্টা হিসেবে যে সময় দাড়ায় সেই ভাবে আপনাকে টাকা দিবো রিকশাওয়ালা ও রাজি হলো ..
আমরা আজিমপুর হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রোড, ফুলার রোড, টিএসসি এর আসে পাশের জায়গা গুলো ঘুরতে লাগলাম তখন ঝুম বৃষ্টি ঈদ এর কারনে রাস্তা গুলো বেশ ফাকা মাঝে মাঝে ভয় ও লাগছিলো ...
কিন্তু মনের মানুষের সাথে বৃষ্টিভেজা রাতে ফাকা রস্তায় রিকশায় ঘুড়ে বেড়ানো সুখ গুলো ভয় কে পিছনে ফেলে দিয়েছিলো। এখন বৃষ্টি হলেই সেই স্মৃতিগুলো ভেসে উঠে নীল এর মনে এবং হৃদয়ের গোপন কুঠরো বাইরের বৃষ্টির মতো তার হৃদয়েও বৃষ্টি ঝড়ে...
আপনাকে সে মুখ ফুটে কখনও দুরে যেতে বলবে না আবার থেকে যেতেও বলবে না! এমন একটা ছাড়া ছাড়া ভাব করবে আপনি বুঝে উঠতেই পারবেন না যে সে আসলে কি চায়!
একতরফা আর দুইতরফা ছাড়াও একপ্রকার মিথ্যা অভিনয়ের ভালোবাসা হয়..
যেখানে আপনি ভালোবাসেন অপর মানুষটাও ঠিক আপনার সাথে এমন আচরণ করবে যেমন সেও আপনাকে ভালোবাসে!
যখন আপনি সরাসরি জিজ্ঞেস করবেন যে কেনো সে এরকম করে, তখন সে সেটার উত্তর এমন ভাবে দিবে যে আপনি নিজেকেই নিজে ভুল ভাবতে থাকবেন! ভাববেন যে আপনি নিজেই ভুল ভাবছেন, আপনার ধারণা ভুল!
সে আপনাকে একটা ঘোরের মধ্যে রাখবে সবসময়! এমন একটা ঘোর যেখানে আপনি প্রতি মূহুর্তে ভাবতে থাকবেন যে, সে কি ভালোবাসে নাকি ভালোবাসে না ?
আসলে সে আপনাকে ভালোবাসে না সেটা আপনিও বুঝেন! তবুও দুরে যেতে পারেন না! সেই মিথ্যা মায়া কাটিয়ে উঠতে পারেন না!
এটাকে ঠিক কি বলে তা আমার জানা নেই হয়তো কারোরই জানা নেই! এটাকে কোন সংজ্ঞায় ফেলা যায় না! না অবহেলার সংজ্ঞায় ফেলা যায়, না অগ্রাহ্যর সংজ্ঞায় !
এটা এমন একটা ফাঁদ,
যেখান থেকে সহজে বের হয়েও আসতে পারবেন না, আবার আঁকড়ে ধরে থাকতেও পারবেন না.......।।।।!!
ব্যাপারটা হচ্ছে এমন, সে আপনার চেয়ে বেটার কাউকে চাচ্ছে। বাট পাচ্ছেনা। তাই আপনাকে অপশনে রাখছে। কাউকে পেলে আপনাকে সোজাসোজি বলে দিবে। আর হয়তো সে আপনাকে ভালোবাসে না এটা বলে সে নিজেকে ছোট করতে চায় না। সে চাচ্ছে ব্রেকাপটা আপনি করেন। দোষটা আপনার ঘাড়েই চাপুক।
ভালবাসার জন্য একসময় সবাই পাগল থাকি..কিন্তু যখন আমরা সত্যিকারের ভালবাসা পেয়ে যাই,তখন সেটাকে আর মূল্য দেইনা......................
অবহেলায় অনাদরে তা হারিয়ে ফেলি। হারানোর পরই আমরা বুঝতে পারি তা কি ছিল…..........কতটা কষ্টের…….. ভেবে দেখুন তো............ আপনি চাইলেই বাড়ি,গাড়ি সব করতে পারবেন। টাকার জন্য, রুপের জন্য অনেকেই আপনাকে ভালবাসবে। কিন্তু সত্যিকারের ভালবাসা পাবেন কি ??? না পাবেন না.......তাই কেউ যদি সত্যিকারের ভালবাসা পেয়ে থাকেন..........প্লিজ দয়া করে তা হারিয়ে যেতে দিয়েন না। এখন হয়তো তা আপনার কাছে বিরক্ত লাগতে পারে কিন্তু যখন সেটা হারিয়ে যাবে.............বুঝতে পারবেন কি হারিয়েছেন জীবন থেকে। একসময় খুব কাদবেন...................কিন্তু আর ফিরে পাবেন না……………তাই ভালবাসাকে হারিয়ে যেতে না দিয়ে ভালবেসে ভালবাসাকে ধরে রাখুন।
নীল অপরাজিতাকে সত্যিকার অর্থেই ভালোবেসেছিলো। সেই ভালোবাসার মধ্যে ছিলনা কোন মিথ্যা আশ্বাস। নীল অপরাজিতার সুখের জন্য অপরাজিতাকে সুখে রাখার জন্য তার হাসি ভরা মুখ দেখার জন্য সব সময় আপ্রান চেষ্টা করতো। নীল নিজরে দিকে এমনকি মাঝে মাঝে তার পরিবারের কথাও ভাবতো না তার ভাবনা শুধু অপরাজিতা, অপরাজিতা যেন কষ্ট না পায় , মনখারাপ না করে তাকে যেন সব টা সময় হাসি খুশি রাখাযায় সেই ভাবনা ই কাজ করত নীল এর মাথায়।
কী পেলে অপরাজিতা খুশি হবে, কী করলে অপরাজিতার মন ভালো থাকবে , কী খেলে অপরাজিতা খুশি হবে, অপরাজিতা কী খেতে পছন্দ করে এসবই ভাবনা নীল এর।
নীল অপরাজিতার সব পছন্দ, অপছন্দ জানতো, আর নীল এর সব কিছুই অপরাজিতা পছন্দ করত। যখনই কোন একটা জিনিস কিনে তার হাতে দিতাম খুব খুশি হতো সে।
অপরাজিতার খুশি দেখে নীল এর সব কষ্ট নিমিষেই দুর হয়ে যেত।
অপরাজিতা নীল এর প্রতি ক্রমশই নির্ভর হয়ে পরেছিল। যখন যা লাগতো ফোন দিতো আমার এই জিনিসটা লাগবে। অপরাজিতার এমন একটা বিশ্বাস নীল এর প্রতি তৈরি হয়েছিলো যে সে ধরেই নিতো যে আমার যে জিনিসটা লাগবে সেই জিনিসটা মা-বাবা দিবেনা বা দেরি করে দিবে কিন্ত নীল কে বললে সে সাথে সাথেই কিনে দিবে। আর এই বিশ্বাসটা নীল তৈরি করতে পেরেছিলো। অপরাজিতার প্রতি সপ্তাহে এবং প্রতি মাসে নির্দিষ্ট কিছু ডিমান্ড থাকতো যে গুলো ফিক্সড যে নীল এগুলো দিবেই। এবং সেই ডিমান্ডগুলো ও নীল এর সাধ্যের মধ্যে ছিলো কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ডিমান্ড থাকতো যে গুলো নীল এর সাধ্যে অনেক বাইরে .. সেই আবদার গুলো বা ডিমান্ডগুলো ও নীল অপরাজিতার কাছ থেকে সময় নিয়ে সেই আবদার বা ডিমান্ডগুলো পুরণ করে দিতো। যত কষ্টই হোক নীল এর অপরাজিতার জন্য সে করত। নীল তার আর্থিক বিষয় সম্পর্কে সব কিছুই খোলামেলা ভাবে শেয়ার করত এবং অপরাজিতার ডিমান্ডগেুলো যদি কোন মাসে তার সাধ্যের বাইরে চলে যেত কিভাবে সেগুলো সমন্বয় করতে হবে সেই বিষয়ে নিয়ে ও অপরাজিতার সাথে আলোচনা করত, মোট কথা নীল তার সবকিছু অপরাজিতার সাথে শেয়ার করত ভালো খারাপ এবং অপরাজিতাও নীল এর সাথে শেয়ার করত এবং নীল অপরাজিতার কথাগুলো মনে প্রানে বিশ্বাস করত।
মাঝে মাঝে তৃতীয় পক্ষ কিছু কথা অপরাজিতার সম্পর্কে বলত নীলকে যে তুমি যে ওর জন্য এতকিছু করতেছে ও কিন্তু তোমার সাথে মিথ্যা কথা বলে তোমার কাছ থেকে জিনিস পত্র নিচ্ছে তুমি কিন্তু বুঝতেছো না...
কিন্তু অপরাজিতার কথা শুনলে নীল ঐ তৃতীয় পক্ষকে মিথ্যাবাদি মনে করতো এবং অপরাজিতাকে ই সত্য মনে করতো। অপরাজিতা নীল এর কাছে এমন ভাবে কথা উপস্থাপন করতো যে নীল কোনভাবেই অবিশ্বাস করতে পারতো না তাকে। এক কথায় নীল অপরাজিতাকে অন্ধবিশ্বাস করতো।
কিন্তু এই অন্ধবিশ্বাসই নীল এর জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছিলো...........
--হয়তো এটাই ছিল নীল এর ভুল। অপরাজিতা অনেক ছেলের সাথে সম্পর্ক রাখতো, নীল এ সব কিছুই জানতো । অপরাজিতা যে এত কিছু করতো নীল তার প্রমানস্বরূপ দেখাইছে । কিন্তু তারপর ও নীল অপরাজিতাকে কে কিছু বলতো না, এসব জানার পর ও অপরাজিতার প্রতি নীল এর বিশ্বাস একটু ও কমেনি ।
-নীল এর বিশ্বাস ছিল যে মানুষতো ভুল করেই,তাই বলে ছেড়ে চলে যাবো কেন..! ছেড়ে চলে গেলে তার ভুল গুলো শুধরে দিবে কে..?
এই ভেবে নীল অপরাজিতার পাশে রয়ে গেলো, ভেবেছিল নীলএর ভালোবাসা হয়তো তাকে বদলে দিতে পারে,তার ভুল গুলো ধরিয়ে দিলে হয়তো শুধরে নিবে নিজেকে ।
--এই ভাবে প্রায় আট বছর কেটে গেলো..! কিন্তু অপরাজিতা বদলায় নি। সে নিয়ম করে
একইভাবে নীল এর সাথে মিথ্যে কথা বলতে থাকে । একদিন নীল কষ্টে অপরাজিতার
এই মিথ্যের প্রতিবাদ করলো, আর এই প্রতিবাদ ই সম্পর্ক টার শেষ দিন হয়ে
গেলো।
এই একটা প্রতিবাদে সব কিছু শেষ হয়ে গেলো..!!
নীল তখন একটা কথাই ভাবলো ওর এতো মিথ্যে আমি মাফ করে দিলাম আর আজ এই একটা মিথ্যের প্রতিবাদ করায় সম্পর্ক টা ভেঙ্গে দিল । ভাবতে ভাবতে নীল এর চোখ কান্নায় জর্জরিত হয়ে গেলো..!
এই ভাবেই হয়তো সত্যি কারের ভালোবাসা গুলো মিথ্যের কাছে হেরে যায়...
নীল অপরাজিতার জন্য কি না করেছে!!!
যখন যা প্রয়োজন তখনই তা মিটিয়ে দিয়েছে নি:স্বার্থ ভাবে। কখনোই কোন বিনিময়ের আশা করেনি নীল অপরাজিতার কাছ থেকে। নীল এর একটাই কথা যে ভাবেই হোক আমার যতই কষ্ট হোক আমার অপরাজিতাকে সুখি রাখতে হবে, আমি সব সময় তার হাসি মাখা মুখ দেখতে চাই, তাকে কোন ভাবেই বিমর্ষ দেখতে চাইনা।
নীল এর মোবাইল এ রিং হলেই নীল ভাবতো অপরাজিতার ফোন... নীল অপরাজিতার প্রতি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছিল যে প্রতিটা সেকেন্ডেই অপরাজিতার কথা মনে হতো.....
অনেকটা মানষিক রোগীর মত হয়ে গিয়েছিলো... যে অপরাজিতার কথা ছাড়া সে আর কিছুই ভাবতে পারতো না। এমনকি নীল যখন নামাজ পড়তো প্রায় প্রতি দিনই নামাজ ভুল হয়ে যেত। নামাজে দাড়িয়েও অপরাজিতার কথা মনে হয়ে যেত। অপরাজিতার সাথে সুখকর স্মৃতি গুলো তাকে নিয়ে ভবিষ্যৎ ভাবনাগুলো সারাক্ষণ ভাবাতো।
পকেটে মোবাইল থাকা অবস্থায় রিং হলেই মনটা কেমন যেন করে উঠতো যে এই বুঝি অপরাজিতার ফোন। মাঝে মাঝে যখন অপরাজিতার সাথে নীল অভিমান হতো তখন দুজনেই ফোন দিতো না কউ কা্উকে সেই সময়টা খুবই দূর্বিষহ ভাবে কাটতো। আর ঐ সময় কোন কল আসলেই মনে হতো এই বুঝি অপরাজিতার ফোন।
এমন ও দিন গেছে যে তীর্থের কাকের মতো মোবাইল এর ডিসপ্লের দিকে তাকিয়ে থাকতো নীল। অপরাজিতার ফোন এর আশায়। বার বার কল লিস্ট চেক করতো যে কোন ফোন আসছিলো কি না। ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে ম্যাসেজ চেক করতো যে অপরাজিতা কোন এসএমএস করেছিলো কিনা... অবুঝ ছেলের মতো বার বার মোবাইলে এর কল লিস্ট চেক করতো যে অপরাজিতা কোন ফোন করেছিলো কিনা। অপরাজিতার প্রতি যে নীল এর কি গভীর ভালোবাসা অপরাজিতা বুঝতেই পারেনি।
যদি তুমি কাউকে ভালোবাসো ,তাহলে তুমি তাকে নি:সার্থ ভাবে ভালোবাসো, যে ভালোবাসায় কোন নিজস্ব সার্থ থাকবে না।
যাকে তুমি ভালোবাসো শুধু তার স্বার্থটাকে তুমি বড় করে দেখবে।
তুমি তাকে কিভাবে ভালো রাখবে ,তোমার এমন কোন ব্যবহার এ যাতে সে কোন প্রকার কষ্ট না পায় সেই দিক টাতে খেয়াল রাখবে।
তাকে সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবে।
তার মুখ দেখে বা কথা বলার ভাঙ্গিমা দেখে তুমি যাতে বুঝতে পার তার মন কোন কারেনে খারাপ কি না?
যদি খারাপ থাকে তাহলে তাকে তুমি মন ভালো করার চেষ্টা কর তোমার সর্বস্ব দিয়ে
তুমি তাকে কখনো ভুল বুঝবে না,
সে যদি তোমাকে ভুল বুঝে তাহলে তোমার যুক্তি দিয়ে তাকে তুমি বুঝাও
তুমি ও রাগ করে তার কাছ থেকে দুরে সরে আসবে না
সবসময় তার মঙ্গল কামনা কর, আল্লাহর কাছে / সৃষ্টিকর্তার কাছে তুমি প্রার্থনা কর তোমার ভালোবাসর মানুষের জন্য।
যদি তুমি এভাবে কাউকে ভালো বাসতে পার তবেই তুমি সত্যিকারের ভাবে কাউকে ভালোবাসতে পারবে।
সে যদি তোমার একান্ত নাই হয় তবুও তুমি তাকে ভালোবাস
ভালোবাসাতে মনটা ই হল আসল আর দেহ টা হচ্ছে নকল
কিন্তু আমরা কি করি
দেহটাকে আগে প্রাধান্য দেই মনটাকে পরে
আরে ভাই দেহ টা কয়দিনের ?
কিন্তু মনটা আমৃত্যু একই রকম থাকে
দেহের মত নষ্ট হয় না।
তাই বলব যে , যাকে তুমি মনথেকে ভালোবাস সে যদি সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তোমার না ও হয় তবুও তুমি তাকে ঠিক আগের মতই নি:সার্থভাবে ভালোবেসে যায়।
তবেই তুমি সেই ভালোবাসার মর্মার্থ্য বুঝতে পারবে।
সেটাই হবে নি:স্বার্থ ভালোবাসা। নীল অপরাজিতাকে নি:স্বার্থ ভাবেই ভালোবেসেছিল।
আজকের দিনের ভালোবাসা!!!
কাছের মানুষটিকে নিয়ে ঘূরে বেরানো
বিভিন্ন ফাস্টফুডে খাওয়া , বিভিন্ন লোকেশনে ঘুরতে যাওয়া
বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ঘুরতে যাওয়া , সারারাত মোবাইলে কথা বলা
সারাদিন মোবাইলে গুনগুন করে কথা বলা
বিভিন্ন উপহার দিয়ে কাছের মানুষটির মনজয় করা
তারপর একদিন সামান্য কারনে একুট ঝগড়া তারপর সম্পর্ক বিচ্ছেদ।
কিছুদিন নিজের উপর টর্চার, তারপর সময়ের সাথে সাথে ভুলে গিয়ে আবার আরেক জনকে কাছে টেনে নেয়া
আবার সেই পুরোনো রীতিতে চলা .....
তারপর আবার........................................................................????????
এটাই আজকের দিনের ভালোবাসা--- কি ছেলে , কি মেয়ে উভয়েই এই রাস্তার পথিক !!!
কিন্তু তাইবলে যে প্রকৃত ভালোবাসা নেই সেটা বলবো না
অবশ্যই আছে
আমার কাছে ভালোবাসা হচ্ছে বিনিময়ে কিছু পাওয়ার আশা না করে শুধূই ভালোবেসে যাওয়া
তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো তাহলে তাকে নীরবে ভালোবেসে যাও..
তুমি যে তাকে ভালোবাসে তা প্রকাশ করো না
তুমি তোমার কাজের মাধ্যমে বুঝিয়ে দাও যে তুমি তাকে কতটুক ভালোবাসো
এবং সারাটা জীবন তুমি তাকে ভালোবাসো
ভালোবাসলেই কি তাকে কাছে পেতে হবে ??
কাছে না পেয়ে ও ভালোবাসা যায়
পবিত্র ভালোবাসা কখনো শরীর কে প্রাধান্য দেয় না। মনটা কে প্রাধান্য দেয়
কিন্তু আজকের দিনের ভালোবাসা মন, না শরীরটাকে প্রাধান্য দেয়
যে মানুষটি কে তুমি ভালোবাস তুমি তার জন্য সবসময় মঙ্গল কামনা কর, যেন তোমার ভালোবাসার মানুষটি কখনো কষ্টে না থাকে।
তার জন্য সবসময় সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা কর।
তুমি যেখানেই থাকনা কেন তুমি তার জন্য প্রার্থনা করতে পার বিধাতার কাছে
এটাই হচ্ছে প্রকৃত ভালোবাসা
শুধু কাছে এসে বসবে, একজন আরেক জনের কোলের উপর মাথা রেখে আবেগ ঘন কথা বলবে
তারপর বিন্দুমাত্র ভুল বুঝাবুঝি নিয়ে ঝগড়া করে আগের কথাগুলো ভুলে গিয়ে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা
এর নাম তো ভালোবাসা না !!!!
ভাল
উত্তরমুছুনভাল
উত্তরমুছুন